ডা চন্দ্রগুপ্ত
১২ তম পর্বের পর……
মুখ চেপে ধরে নমিতা, ‘রঞ্জর বাপের মত তুকেও ওরা যদি লাঠি পিটে? মু তো…
নমিতার কথার মাঝে ওদের ঘরের দরজায় ঘা
পড়ল।
বাইরে কে যেন হাঁকছে; —বিনোদ বেড়িয়ে আয়।
নমিতা বিনোদকে জাপটে ধরে থাকে। ‘তু যাবি না, আমি দরজা খুলছি। জানলা দিয়ে তু পলাই যা।’
তুকে তো মু বুইলছি। মুরা হল জঙ্গলি ছাগল-হরিণ। জা না খুললে, উরা ভেঙে ঢুইকবে। মু পলাইলে তুকে লাঠি মাইরবে নমিতা।
কথা বলতে বলতে বিনোদ চৌকি থেকে নেমে > দাঁড়ায়। নমিতা ও নেমে এসে পথ আটকে দাঁড়ায়। ফিস্ ফিস্ করে বিনোদ নমিতাকে বোঝানোর ঢঙ এ বলে, ‘সর। দেখি কে ডাকছে।’ ততক্ষণে আরো ধাক্কা পড়তে পড়তে পড়তে থাকে। ছেলে-মেয়েরা দাদু ঠাকুরমা সাথে ঘুমোয়। তাই ওদের এই দৃশ্য দেখতে হচ্ছে না। অনেকটা স্বস্তি লাগছে বিনোদের।
বিনোদ দরজার খিলটা খুলতেই আপনা আপ দরজাটা খুলে গেল। যেন বাইরে থেকে চাপ দিয়ে রাখা হয়েছিল। দরজার মুখে দুজন লোক, মুখে গামছা বাঁধা। চাঁদের আলোতে বিনোদ দেখতে পাচ্ছে উঠোনে দশ পনেরো জন কাঁধে বন্দুক নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে।
ক্রমশ…….